করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় ছুটিতে বা বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়া প্রবাসীদের অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসার অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
সম্পূর্ণ ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং দেশে অবস্থানের মেয়াদ ৬ মাস পার হোক বা না হোক ভিসার বৈধতা আছে এমন প্রবাসীরা ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আমিরাতে ফিরতে পারবেন বলে শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দেশটির ‘ইমার্জেন্সি ক্রাইসিস অ্যান্ড ডিজেস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি’।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ভ্যাকসিন নেওয়া বৈধ ভিসাধারী বাংলাদেশি এমনকি ভিসার বৈধতার থাকার পরও যারা ফ্লাইট বন্ধের কারণে আসতে পারেননি তারাও এখন আরব আমিরাত আসতে পারবেন। এ তালিকায় বাংলাদেশ ছাড়াও আছেন ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভিয়েতনামসহ ১৫টি দেশের অভিবাসীরা।
তবে এজন্য প্রত্যাবর্তনকারীকে ‘ফেডারেল অথরিটি অব আইডেন্টিটি অ্যান্ড সিটিজেনশিপ’-এর অনুমোদন নিতে হবে। দুবাইর ক্ষেত্রে জিডিআরএফএ অনুমোদন নিতে হবে। তাদেরকে একইসঙ্গে টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে ছাড়পত্র নিতে হবে। অনুমোদিত ল্যাব থেকে ৪৮ ঘণ্টা মেয়াদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ পিসিআর টেস্ট রেজাল্ট এবং তার কিউআর কোড নিতে হবে যা বিমানবন্দরে ঢোকার সময় দেখাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিটি যাত্রীকে বোর্ডিং-এর আগে একটি র্যা পিড কোভিড-১৯ টেস্ট দিতে হবে। আমিরাত পৌঁছার পর আরেকটি পিসিআর টেস্ট এবং ৪র্থ ও ৮ম দিন দুটি পিসিআর কোভিড-১৯ টেস্ট করতে হবে। তবে ১৬ বছরের নিচে শিশুদের জন্য এর বাধ্যবাধকতা নেই।
কোভিড-১৯ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপে আরব আমিরাত বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ৩৫-৪০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশে আটকা পড়েন, যাদের অনেকেরই ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে এবং তারা হতাশায় ভুগছিলেন। এ ঘোষণা দেশে আটকে পড়া হাজার হাজার প্রবাসীকে স্বস্তি দেবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে আমিরাত ফিরতে হলে নতুন ভিসা নিতে হবে বলে স্থানীয় দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
জাহাঙ্গীর কবীর বাপপিঃ